
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ১২৪ বছরের পূরনো ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ বিঝারী উপসী তারাপ্রসন্ন উচ্চ বিদ্যালয়। জেলার প্রাচীনতম এই বিদ্যাপিঠটিতে বর্তমানে ১৪শ’র অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে, যা জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ। এখানে বরেণ্য কথাসাহিত্যিক আবু ইসহাক ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হকের মত দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ লেখাপড়া করেছেন। রাষ্ট্রে অনেক বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন এই বিদ্যালয়ের ছাত্ররা। কিন্তু প্রাচিনতম এই বিদ্যাপিঠটিতে এখনও তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়টি। শুরু থেকেই অবহেলির রয়ে গেলেও বিদ্যালয়টিতে করো নজর পরেনি। বর্তমানে তীব্র শ্রেণীকক্ষ সংকটে ভুগছে বিদ্যালয়টি। সংকট রয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী। বিদ্যালয়টিতে বহুতল বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মান জরুরী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পাঠদানের জন্য রয়েছে একটি দ্বিতল ভবন ও দুটি আধাপাকা একাডেমিক ভবন। তারমধ্যে করোনাকালীন ছুটির মধ্যে দ্বিতল ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। করোনাকালিন ছুটি শেষ হলে পাঠদান তীব্রভাবে ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে একাডেমিক ভবন, বিজ্ঞানাগার, গ্রন্থাগার, সৌচাগার, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ভরাট, প্রাচীর নির্মাণ প্রয়োজন। বাংলা, ইংরেজি, ব্যবসায় শিক্ষা, ভৌত বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া অফিস সহায়ক (দপ্তরী), অফিস সহায়ক (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) পদ শূন্য রয়েছে। যা পূরণ করা জরুরী।
প্রধান শিক্ষক শেখ নুরুল আমিন রতন বলেন, বিঝারী উপসী তারাপ্রন্ন উচ্চ বিদ্যালয় ১২৪ বছরের পূরনো ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়। এখানে নন্দিত কথাসাহিত্যিক আবু ইসহাক, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক সহ অনেক জ্ঞানী গুণী দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ লেখাপড়া করেছেন। বর্তমানে এই বিদ্যালয়টিতে ১৪শ’র বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। যা জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ। এই বিদ্যালয়টি সকল পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র ও সাইক্লোন সেল্টার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু অবকাঠামো উন্নয়নের দিক থেকে এই স্কুলটি অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তীব্র শ্রেণীকক্ষ সংকটে রয়েছে স্কুলটি। ঝুকিপূর্ণ ও ঝরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে আমাদের। নানা সংকট মোকাবেলা করে আমারা এগিয়ে যাচ্ছি। নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক এই স্কুলটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর স্কুলটির উন্নয়নে তার সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ থেকে তিনি স্কুলটিতে একটি আধাপাকা ভবন করে দিয়ছেন। যা দিয়ে কিছুটা হলেও আমরা পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এটি না হলে পাঠদন আরও তীব্রভাবে ব্যহত হতো। মাননীয় সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম পানিসম্পদ উপমন্ত্রী হওয়ার পর এই স্কুলে এসেছিলেন। তিনি সবকিছু জানার পর চারতলা নতুন একাডেমিক ভবন বরাদ্দ করেছেন। এই ভবন নির্মান কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যে কোন মূহুর্তে কাজ শুরু হতে পারে। এই স্কুলটি যাতে তার ঐতিহ্য বজায় রেখে শিক্ষাসহ সকল দিক দিয়ে দিন দিন সুনামের সাথে উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে এজন্য আমি সরকারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ সহ সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।