বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ বৃহস্পতিবার | ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পূর্বকোটাপাড়া কীর্তিনাশা নদীভাঙ্গণে ব্যাপক ক্ষতি, সরকারকে ব্যবস্থা নিতে এলাকাবাসীর দাবি

বুধবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ | 67 বার

পূর্বকোটাপাড়া কীর্তিনাশা নদীভাঙ্গণে ব্যাপক ক্ষতি, সরকারকে ব্যবস্থা নিতে এলাকাবাসীর দাবি

প্রতি বছরই ভাঙ্গছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের কোটাপাড়া ব্রীজের পূর্বে অবস্থিত কীর্তিনাশা নদীর পাড়, লঞ্চঘাটসহ অনেক স্থান। ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত এক মাসে প্রায় এলজিইডি’র ১টি পাকা রাস্তা, ২টি গ্রাম, ১টি কবরস্থান, পৌরসভার ১টি বর্জ্য ডাম্পিং ও ১টি শ্বশান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। ভাঙ্গনে উক্ত এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত ভিটেমাটি হারানোর ভয়ে আতঙ্কের মাঝে বসবাস করছে। অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে নদীর পাড়ের অনেক ফসলি ভূমি নদীগর্ভে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। এ বছর বর্ষা ও টানা বর্ষণে কয়েক একর ফসলি জমি, বাগান ও অনেকগুলো বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। ভূমিহীন হয়ে যাওয়ার পথে প্রায় কয়েকটি পরিবার। কীর্তিনাশার ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে নদীর দুই পাড়ের বিস্তীর্ণ জনপদ ও শত শত একর ফসলি জমি। সরকার তাৎক্ষণিক দ্রæত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পূর্ব কোটাপাড়া এলাকার এলজিইডি’র একমাত্র পাকা রাস্তাটি, কিছু বসতবাড়ি, কবরস্থান, পৌরসভার বর্জ্য ডাম্পিং ও শ্বশানটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্বকোটাপাড়া গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র পাকা রাস্তা ও অনেক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার পথে। রাস্তার অনেক অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। রাস্তার অনেক স্থান জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। আদর্শ(গুচ্ছ) গ্রামের কিছু বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে। যা গত ১৫ দিন পূর্বেও ঠিক ছিল। নদীর পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে নদীর পাড়ে ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়বে। কারন, বসতভিটা নদীতে ভেঙ্গে হারিয়ে গেলে কোন জায়গাই তাদের অবশিষ্ট থাকবে না।

স্থানীয় মেম্বার শামসুল হক ছৈয়াল, ব্যবসায়ী রেজানুল হক খান ও আতাউর রহমানসহ অন্যান্যরা বলেন, আমাদের কীর্তিনাশা নদীর পানি যেভাবে নামতে শুরু করেছে এবং নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, এতে করে একমাত্র পাকা রাস্তাটি, গুচ্ছ গ্রামসহ ২টি গ্রাম, ১টি কবরস্থান ও ১টি শ্বশান ও শরীয়তপুর পৌরসভার ১টি বর্জ্য ডাম্পিং নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। যদি সরকার তাৎক্ষণিকভাবে দ্রæত পদক্ষেপ নিয়ে জিওব্যাগ ফেলে নদীর গতিরোধ না করে, তাহলে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে। যা পুষিয়ে ওঠার মতো নয়।

পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন দেওয়ান বলেন, এ ভাঙ্গনের বিষয়ে আমরা সদর ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করেছি। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিদর্শণ করেছেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড গত একমাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যদি পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ করতো, তাহলে নদী ভাঙ্গণে যে ক্ষতি হলো, তা হতো না।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে নিয়ে পূর্ব কোটাপাড়া ভাঙ্গণের স্থান পর্যবেক্ষণ করেছি। তিনি আশ্বস্থ করেছেন, পানি কমলে ভাঙ্গণরোধের ব্যবস্থা নিবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. আহসান হাবিব মোবাইল ফোনে বলেন, আমি পূর্ব কোটাপাড়ার ভাঙ্গনের বিষয়ে অবগত আছি। পানি কমলে ভাঙ্গণরোধের ব্যবস্থা নিব।


সর্বশেষ  
জনপ্রিয়